Not known Factual Statements About অপূর্ণ প্রেমের গল্প

ঠিক, আছে দিশা আমি চলে যাচ্ছি। তবে একটা ব্যাপার ভাবতেই অবাক লাগে।

খেলা শুরুর ৩৫ মিনিটের মাথায় এবং পরে ৪১ মিনিটের মাথায় বড় মামার দল দুইটা গোল দিয়ে দিল। সবাই উল্লাসে ফেটে পড়ল। কিন্তু আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল। হাফটাইমের ঘোষণা দেওয়া হল।

আচ্ছা দিশা ‘আমাকে কি একটু ভালোবাসা যায় না! আমার সাথে কি তুমি একটু মিষ্টি ভাষায় কথা বলতে পারো না। আচ্ছা তুমি কি আমায় দেখে বুঝতে পারোনা যে আমি তোমাকে কটোটুকু ভালোবাসি। কতোটুকু আছো তুমি আমার রিদয় জুড়ে। তারপরেরও তুমিকেনো আমার সাথে এমন করো। জানো আমার তখন কতো কষ্ট হয় তোমার এরুপ আমার সাথে আচরণ দেখে। কেনো বুঝোনা তুমি কতোক্ষাণি ভালোবাসি তোমায়। একটি বার কি বলতে পারতে না যে রক্তিম আমিও তোমায় অনেক ভালোবাসি।

(দিশা রক্তিমের কথা শুনে আরো জোড়ে কান্না শুরু করে দিলো)

জীবনে হয়ত অনেক কিছুই ফিরে পাওয়া সম্ভব, কিন্তু স্কুল জীবনের সেই ফেলে আসা স্মৃতিগুলো আর কখনই ফিরে আসবে না।

কে আ...

আম্মু আমি রক্তিমের সাথে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি। সে কি আমাকে ক্ষমা করে দেবে। ও কি আমায় ওর here জীবনে আপন করে নেবে। আমি যে ওকে না দেখেই অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলাম আম্মু। প্লিজ বলো না আম্মু সে কি আমার মেনে নেবে আম্মু বলোনা আম্মু বলোনা। এই বলে দিশা ওর আম্মুকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। তারপর হঠাৎ করে চক্ষ চলে যায়। ফ্লোরে পরে থাকা রক্তিমের দেয়া গিফটের বক্সটার দিকে। তাই সে তারা-তারি করে বক্সটা হাতে নেয় এবং বক্সটা খোলে আর খুলে যা দেখে তা দেখে সাথে সাথে আবার চিত্কার করে কান্না শুরু করে দেয়।

আমি কোনমতে বলতে পারলাম,’যে মাছ খায় না মামী বলেছে এটা তার জন্য”। আমার কথা শুনে সে মুখ নীচু করে মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।  কিন্তু বড় মামার আবার হুংকার,” আরে বলবিতো কে মাছ খায় না”। কিন্তু এই কথার উত্তর দেয়ার জন্য আমি আর সেখানে দাঁড়িয়ে নেই ।

আজ ১৪ফেব্রুয়ারি ছেলেটির কবরের পাশে দাড়িঁয়ে মেয়েটি বলছে, তোমাকে ভালোবাসার ফুল দিচ্ছি, গ্রহণ কর। মনে রেখ তুমি, তোমারি ছিলাম আছি থাকবো। তুমি কি জীবনে একবার আমার সাথে কথা বলবে, দেখা করবে শুধু একবার!

আরে নাহ, আন্টি তেমন কোনো ব্যাপার না। আসলে আমার একটু জরুরী কাজ পরে গেছে তো তাই ‘তাড়াহুড়ার মধ্য দিয়ে যেতে গিয়ে হঠাৎ চক্ষে একটা পোকা পড়ে যায়। আর তার জন্যই চক্ষু দিয়ে হালকা পানি পরছে। ওসব কোনো ব্যাপার না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। আচ্ছা আন্টি আমি এখন চলি আমার একটু তারাআছে।

সত্য মিথ্যা সততা প্রতারণা বলে কিছু নেই!!! তুমি যেভাবে দেখাবে – দুনিয়া সেই ভাবেই দেখবে।

এদিকে রক্তিম তো তখনও নির্বাক দর্শকদের মতো দারিয়ে গালে হাত দিয়ে দারিয়ে আছে। সে ভাবতেই পারছে না যে আসলে ওর সাথে কিছুক্ষণ আগে ঠিক কি ঘটলো।

আচ্ছা ঠিক আছে। এখন আগে তোমার কান্না থামাও তো। আর আমার কথা গুলো শোনো।

মারে’আমি সেদিন তোকে সব কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু রক্তিম তখন আমায় নিশেধ করে দেয় তোকে না বলার জন্য। আমি কারণ জানতে চাইলে চলে যে তুই নাকি রক্তিমকে একদম দুই চক্ষে সজ্য করতেই পারিস না। আর তুই এসব কিছু জানলে নাকি আর অপারেশনটাই করাতি না। তাই আমরা বাদ্ধ হয়েই তোকে সব কিছু জানাই নি। তোবে আজকে তোর রক্তিমকে এমন কথা বলার জন্যই সব কিছু তকে জানাতে বাধ্য হয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *